পোস্টগুলি

ইমোশন - চন্দ্রানী চক্রবর্তী ব্যানার্জী (স্বরচিত কবিতা)

ছবি

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় – কেন এত জনপ্রিয় ছিলেন

ছবি
সাত সুরে ভেসে যেতে  কোন মানুষ না চায়ে ? আর সেই সুরের যাদু যদি নিজ কণ্ঠে থাকে তাহলে ত আর কথাই নেই । সাক্ষাৎ মা সরস্বতী তার কণ্ঠে বিরাজমান ছিলেন, তার সুর ছুঁয়ে যেত বিশ্ববাসীর হৃদয়কে,এমন এক কিংবদন্তী শিল্পীর নাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ।

কাটোয়ার কার্তিক পুজো - সিমন রায়

ছবি
কলকাতার দুর্গাপুজো, চন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, বারাসাতের কালীপুজো কিংবা নবদ্বীপ-শান্তিপুর অঞ্চলের রাস, এই একেকটি ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা পুজোর পাশে একই সারিতে একই জনপ্রিয়তার নিরিখে বিচার চলে কাটোয়ার কার্তিক পুজোর। শুধু পুজোই নয়, কাটোয়ার কার্তিক পূজার বিশেষ আকর্ষণই হল কার্তিকের লড়াই। সে এক আজব জিনিস। 

অন্দরসজ্জায় টেরাকোটা - প্রিয়াঞ্জনা রক্ষিৎ

ছবি
প্রতিটি ঘরই একটা করে গল্প বলে, প্রতিটি বাড়ির একটা নিজস্ব গল্প থাকে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতির আবহে নিজের পছন্দের জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে চায় যে কেউ! সে জিনিসগুলো আবার যদি হয় মাটির তৈরি হয় তাহলে সেখানে কিছু আবেগও মিশে থাকে। এই মাটির তৈরি জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টেরাকোটার কাজ, যা আপনাকে নিয়ে যাবে গ্রামীণ শিল্পের শৈল্পিকতে। ইদানিং ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই টেরাকোটা একটি জনপ্রিয় উপকরণ।

বাংলার গথিক কাহিনীর রূপকার ও তার অবদান - সিমন রায়

ছবি
  রবীন্দ্রনাথের ‘মণিহারা’ পড়েছেন তো? কিংবা ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ ? আর ইংরেজিতে বলতে হলে ব্রাম স্ট্রোকারের বিখ্যাত বই ‘কাউন্ট ড্রাকুলা’। ‘মণিহারা’ কিংবা ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এ সেই যে বিশালাকায় প্রাসাদের বর্ণনা, ভাঙা জানালা-ঝুলে পড়া বারান্দা নিয়ে ‘মণিহারা’র যে সুপ্রাচীন প্রাসাদ কিংবা ‘ ক্ষুধিত পাষাণ ’-এ যখন মেহের আলী চিৎকার করে বলে ওঠে ‘সব ঝুট হ্যায়, সব ঝুট হ্যায়’ তখন লেখকের বর্ণনা পড়ে যেন এক শিহরণময় অনুভূতি জাগে। ভূত নয়, ভৌতিক পরিবেশ এবং স্পষ্টত সেই পরিবেশের মধ্যে এক অদ্ভুত প্রাচীনত্ব রয়েছে। সাহিত্যের ভাষায় একেই নাম দেওয়া হয়েছে ‘গথিক কাহিনী’। গথিক কথাটাই জুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল সুপ্রাচীন মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের সঙ্গে। মধ্যযুগের সেই বিশাল বিশাল দূর্গ, গির্জা, বিশাল অট্টালিকার মধ্যে দাসদের উপর সামন্ত প্রভুদের অত্যাচার, খুন, রক্তপাত, হত্যা, এমনকি সেই সব বিশাল দূর্গের মধ্যেকার শূন্যতা সব মিলিয়ে এক গথিক অনুভব তৈরি করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে তৈরি এই ধরনের গথিক সৌধের গোপন সুড়ঙ্গ, গুপ্ত ঘর, অন্ধকার, রহস্যময়তা এসব মিলিয়েই যখন গল্প-উপন্যাস লেখেন লেখকেরা, সেটিকেই গথিক কাহিনি বলা হয়।