আমাদের ছোটবেলায় সকলেরই পড়া থাকবে রবীন্দ্রনাথের সেই অমলিন ছড়া – ‘কুমোরপাড়ার গরুর গাড়ি / বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি’। শুক্রবারের হাটে সে সময় নানাবিধ দৈনন্দিন সামগ্রীর পাশাপাশি স্বমহিমায় বিক্রি হত কুমোরপাড়ার সেই সব হারিয়ে যাওয়া কুমোরদের হাতে তৈরি দৃষ্টিনন্দন মাটির কলসি, মাটির হাঁড়ি, মাটির সরা, কড়াই আরো কত কি! মাটির উনানে কাঠের আগুনে মাটির হাঁড়িতে রান্না করে খাওয়ার স্মৃতি ও স্বাদ দুইই বাঙালি ভুলেছে। কুমোরপাড়ার সেই কুমোরেরাও আজ কোথায় হারিয়ে গেছে, দেখা মেলে না কলসি-হাঁড়ি বোঝাই করা গাড়িরও। শুধু কি মাটির বাসন! মাটির পুতুল তৈরিতেও একসময় বাংলার সুখ্যাতি ছিল ভারতজোড়া।
মুক্তির স্বাদ চাইছে মন। দৈনন্দিন জীবনের হাজারো ক্লান্তি, ব্যস্ততা, একঘেয়েমিতে হাঁফিয়ে উঠে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে হাতছানি দিচ্ছে পাহাড়ে ঘেরা কোন এক নিরিবিলি স্থান যেখানে নিজের মত করে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসা যাবে। ব্যস্ততার মধ্যে ছুটি মেলাও এক বিশাল ব্যপার কিন্তু পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার জন্য মন যে ছটফট করছে। তাই আর দেরি না করে ব্যাগ গুছিয়ে তিন-চার দিনের জন্যে বেড়িয়ে আসতে পারেন দার্জিলিং থেকে একটু দূরেই ঘুম পাহাড়ের কোলে অবস্থিত একটি অন্যতম অফবিট ডেস্টিনেশন - লেপচা জগৎ-এ।
সাত সুরে ভেসে যেতে কোন মানুষ না চায়ে ? আর সেই সুরের যাদু যদি নিজ কণ্ঠে থাকে তাহলে ত আর কথাই নেই । সাক্ষাৎ মা সরস্বতী তার কণ্ঠে বিরাজমান ছিলেন, তার সুর ছুঁয়ে যেত বিশ্ববাসীর হৃদয়কে,এমন এক কিংবদন্তী শিল্পীর নাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ।
Image Source: mashindia মানবসভ্যতার আদিলগ্ন থেকে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরনের মধ্যে কাঠ বা দারু একটি অন্যতম উপাদান। সেই প্রস্তরযুগ থেকে পশু শিকার করা ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে মানুষ কাঠের দণ্ডের ব্যবহার শুরু করেছিল। কাঠ প্রাণহীন বা জড় পদার্থ হলেও মানুষ কাঠের উপর বিভিন্ন নকশা, খোদাই ও কারুকার্য করে তা রূপদান করে প্রাণবন্ত করে তোলে। কাঠের গায়ে খোদিত নানান রকমের নকশাই দারুশিল্প নামে পরিচিত।
মন্তব্যসমূহ